প্যারেন্টিং ও শিশু বিকাশ

Last Updated : August 23, 2025
2 Lessons
0 Enrolled

About Course

প্যারেন্টিং এর  ইতিকথা

প্যারেন্টিং : শুরু করুন ‘শুরু’ থেকে

সম্রাট আলেকজান্ডারের শিক্ষক গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলের কাছে এক নারী এলেন। জিজ্ঞেস করলেন, আমার সন্তানের প্রশিক্ষণ শুরু করব কখন থেকে? এরিস্টটল জিজ্ঞেস করলেন, সন্তানের বয়স কত? মা বললেন, পাঁচ বছর। আঁতকে উঠলেন এরিস্টটল। বললেন এক্ষুণি যাও, প্রশিক্ষণ শুরু করো! তুমি তো পাঁচ বছর দেরি করে ফেলেছ।

  • এ ঘটনা বলে দেয় প্যারেন্টিং নিয়ে চিন্তা শুধু এখনকার মা-বাবারা করেন না, সব যুগেই মা-বাবারা করতেন। এরিস্টটল বলেছেন, জন্ম থেকেই গড়ে তুলতে হবে সন্তানকে। আর এখনকার বিজ্ঞানীরা বলেন, প্যারেন্টিং শুরু করতে হবে ভ্রূণ থেকে।
  • ধর্ম এদিক থেকে আরো একধাপ এগিয়ে বলে, বিয়ের রাত থেকেই প্রার্থনা করো সুসন্তানের। আর মধ্যযুগে ইমাম আসাকির বলেন, সন্তানকে শুদ্ধাচারী করতে হলে আপনাকে হতে হবে
  • তার মডেল । স্লোগান=
  • “ দাম্পত্য জীবন শুরু করুন সুসন্তান কামনার মধ্য দিয়ে।
  • সুসন্তান ভাবনা দাম্পত্য জীবনকে প্রভাবিত করলে সন্তান লালন
  • আপনার জন্যে সহজ হবে।“

Definition of Parenting

প্যারেন্টিং মানে হলো শিশুদের লালন পালন করা,তাদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং শিক্ষা বিকাশে সহায়তা করা। এটি একটি প্রক্রিয়া ,যেখানে পিতামাতা তাদের সন্তানদের যত্ন নেন, তাদের প্রয়োজনীয় সব কিছু সরবরাহ এবং তাদের জীবনের সঠিক পথ দেখান।

প্যারেন্টিং এর সংজ্ঞাঃ

শিশুদের লালন পালন করা এবং তাদের সুস্থ বিকাশে সহায়তা করাই প্যারেন্টিং।

সন্তানকে ভালোবাসা, সমর্থন এবং নির্দেশনা প্রদান করাই প্যারেন্টিং।

শিশুদের মৌলিক চাহিদা পূরন করা, যেমন খাদ্য,বস্ত্র, বাসস্থান এবং শিক্ষা দেওয়া,শিশুদের সঠিক মূল্যবোধ ও আচরন তৈরি করাকেই প্যারেন্টিং বলে।

অর্থাৎ তাদের আবেগ,চাহিদা এবং সমস্যাগুলী বুঝতে পারা এবং তাদের সমাধান করাই প্যারেন্টিং।

পিতামাতা হিসেবে তাদের ভূমিকা পালন করা এবং সন্তানদের জন্য ভালো উদাহরণ তৈরি করা।

প্যারেন্টিং একটি জটিল প্রক্রিয়া,যার জন্য ধৈর্য্য, সহানুভূতি এবং সঠিক জ্ঞানের প্রয়োজন। প্রতিটি শিশুর বেড়ে উঠা আলাদা, তাই প্যারেন্টিং এর পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।

Parenting এর ধারণা

  • শিশু লালনপালনের কৌশল ও পদ্ধতি
  • শিশুর মানসিক, সামাজিক ও আচরণিক বিকাশে সহায়তা
  • পিতামাতার দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ ও নিয়মের প্রভাব 

শিশুর পরিচালনানীতি

  • a. শিশুর সামনে আদর্শ উচ্চারণ স্থাপন
  • b. শিশুকে শাস্তি না দেয়া
  • c. শিশুর জন্য “হ্যাঁ” বলা
  • d. শিশুর সাথে ভাব বিনিময়
  • e. শিশুর জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি

শিশু বিকাশের ক্ষেত্রগুলো হলো

শারীরিক বিকাশ– বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের আকার ও আকৃতির পরিবর্তন, ওজনের বৃদ্ধি, উচ্চতার বৃদ্ধি অনুপাতের পরিবর্তন-বুক কাঁধ চওড়া হওয়া। শারীরিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি।

বুদ্ধিবৃত্তীয় বিকাশ– কোনো কিছুর প্রতি মনোযোগ দেওয়া, বুঝতে চেষ্টা করা, মনে রাখা, যুক্তি দিয়ে চিন্তাকরা, সৃজনী শক্তি, সমস্যার সমাধান করতে পারা ইত্যাদি।

সঞ্চালনমূলক বিকাশ– জন্মের পর হাত-পা নাড়াতে পারা,

বসতে পারা, হাঁটতে, দৌড়াতে, ধরতে পারা, লাথি মারা, ভারসাম্য রাখতে পারা ইত্যাদি।

ভাষার বিকাশ একটি দুইটি শব্দ বলা, ছোট ছোট বাক্য বলতে পারা। প্রশ্ন করা, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, গুছিয়ে কথা বলতে পারা ইত্যাদি।

আবেগীয় বিকাশ খুশী হলে হাসা, ব্যাথা পেলে কাঁদা, বিকট শব্দে ভয় পাওয়া, কিছু চেয়ে না পেলে রেগে যাওয়া ইত্যাদি শিশু আবেগের প্রকাশ। এভাবে ভালো লাগা, খারাপ লাগা, আবেগ সঠিকভাবে প্রকাশ করা এবং প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা অর্জন।

আবেগীয় বিকাশ– খুশী হলে হাসা

সামাজিক বিকাশ– জন্মের পর থেকে বয়স অনুযায়ী মা-বাবা, ভাইবোনসহ অন্যদের সাথে মিলতে পারার ক্ষমতা এবং ধীরে ধীরে পরিবার ও সমাজের রীতিনীতি নিয়ম অনুযায়ী খাপ খাইয়ে চলতে পারার ক্ষমতার বিকাশ। যেমন- অন্যকে সাহায্য করা, দয়া প্রদর্শণ, সৌজন্য বোধ, সহমর্মিতা, বন্ধুত্ব ইত্যাদি।

নৈতিক বিকাশ সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিনীতির উপর ভিত্তি করে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় বোধ গড়ে ওঠা, অন্যায়ের জন্য অনুশোচনা হওয়া, ন্যায় কাজের জন্য তৃপ্তি পাওয়াই নৈতিক বিকাশ। মিথ্যা বলা, প্রতারণা করা, অন্যের ক্ষতি করা ইত্যাদি কাজগুলো নৈতিকতা বিরোধী কাজ ।

শিশুর বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিকাশ একে অন্যের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। শিশু যখন বসতে শেখে, হামাগুড়ি দিয়ে চলতে শেখে, হাঁটতে শেখে, তখন সে তার চারপাশের জগতের সাথে পরিচিত হয়। এতে তার বুদ্ধিবৃত্তীয় বিকাশ ঘটে। আবার শিশুটি যখন নতুন কিছু শেখে তখন বড় সদস্যরা তাকে নানাভাবে উৎসাহিত করে, আনন্দ দেয়। এ কাজগুলোর মধ্য দিয়ে শিশুর সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশ ঘটে। সুতরাং বলা যায় সকল প্রকার বিকাশের সমন্বয়ে মানব শিশুর পূর্ণবিকাশ ঘটে ।

সামজিক বিকাশ– বন্ধুত্ব

সঞ্চালনমূলক বিকাশ– বসতে পারা, হাঁটতে পারা

কাজ – বর্ধন ও বিকাশের পার্থক্য চার্ট করে দেখাও ।

 

বিকাশের স্তর

আমরা সকলেই জানি, জীবনের সূচনা হয় মাতৃগর্ভ থেকে। ২৮০ দিন বা ৪০ সপ্তাহ বা নয় মাস গর্ভে থাকার পর শিশুর জন্ম হয়। জন্মের পর শৈশব, কৈশোর, প্রাপ্ত বয়স পার হয়ে একজন ব্যক্তি বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হয়। মানুষের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়ে একই রকম বৈশিষ্ট্য থাকে না। একটি দুই বছরের শিশু এবং একটি দশ বছরের শিশুর বৈশিষ্ট্যের অনেক পার্থক্য থাকে। আবার কৈশোর ও প্রাপ্ত বয়সের বিকাশ কখনোই একরকম নয়। জীবন প্রসারের সম্পূর্ণ সময়কে কয়েকটি স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলোই বিকাশের স্তর নামে পরিচিত। এই স্তরগুলো হলো –

জন্মপূর্ব কাল (Prenatal Period)

জীবনের সূচনা থেকে জন্মগ্রহণ পর্যন্ত সময়কাল। সবচেয়ে দ্রুত পরিবর্তনের সময়কাল হলো মাতৃগর্ভের এই সময়কাল। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে একটি এককোষী জীব একটি পূর্ণাঙ্গ মানব শিশুতে পরিণত হয়। জন্মগ্রহণের পর মাতৃগর্ভের বাইরের পরিবেশের সাথে খাপখাওয়ানোর জন্য ভ্রুণ শিশুর মধ্যে বিশাল পরিবর্তন ঘটে।

নবজাতকাল (Neonatal Period)

জন্ম মুহূর্ত থেকে ২ সপ্তাহ সময়কাল নবজাতকাল। এ সময়ে নবজাতককে নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে হয়। শ্বাস-প্ৰশ্বাস, খাদ্য গ্রহণ ও শরীরের বর্জ্য নিষ্কাশনে তার গ্রন্থি সক্রিয় হয়। মাতৃগর্ভের গরম পরিবেশ (১০০° ফারেনহাইট) থেকে কম তাপমাত্রার পরিবেশের সাথে তাকে সঙ্গতি বিধান করতে হয়। সুস্থ নবজাতক জন্মের সময় চিৎকার করে কাঁদে। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ২০ ঘন্টাই ঘুমিয়ে কাটায়।

 

তার যেকোনো অসুবিধা প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম হলো কান্না। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নবজাতকের স্বাভাবিক ওজন আড়াই কেজি থেকে তিন কেজি।

অতি শৈশব টডলারহুড (Babyhood & Toddlerhood)

২ সপ্তাহ থেকে ২ বছর পর্যন্ত সময়কাল। কিছুদিন পূর্বেও যে শিশুটি বড় অসহায় ছিল সে এখন-বসতে পারে, হাঁটতে পারে, কথা বলতে পারে। এই বয়সের মধ্যে তার অন্যের সাথে অন্তরঙ্গতা তৈরি হয়। ১ম বৎসর অতি শিশু, ২য় বৎসর হলো টডলার। শিশুর দুই বছর বয়সের মধ্যে আত্মনির্ভরতার প্রথম পদক্ষেপ শুরু হয় যা তাদের স্বাধীনভাবে চলতে সহায়তা করে।

প্রারম্ভিক শৈশব (Early childhood)

২ থেকে ৬ বছর। এ সময়ে শিশু লম্বা ও ক্ষীণকায় হয়। হাঁটা, দৌড়ানো, আরোহন করা, ধরা ইত্যাদিতে আরও বেশি দক্ষতা অর্জন করে। তারা অনেক বেশি নিজের কাজগুলো করতে পারে। যেমন- নিজে খাওয়া, নিজে নিজে পোশাক পরা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া ইত্যাদি। তারা পরিবারের সদস্যদের অনুকরণ করে খেলে। তারা সমবয়সীদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে শুরু করে। এ বয়সে তারা কৌতূহলী হয় ও অনেক প্রশ্ন করে ।

থেকে ১১ বছর- এই বয়সে মধ্য শৈশব (Middle Childhood)

ছেলেমেয়েরা তাদের পরিবেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানে এবং নতুন নতুন দায়িত্ব পালনে দক্ষ হয়। খেলাধুলায় দক্ষ হয়, নিয়ম সমৃদ্ধ খেলায় (যেমন-গোল্লাছুট, বৌচি, ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি) অংশ নেয়। তারা যুক্তিপূর্ণচিন্তা, ভাষার দক্ষতা অর্জন করে এবং ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে তাদের ধারণা আরও স্পষ্ট হয়। তারা বন্ধুত্ব তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে ।

বয়ঃসন্ধি বা কৈশোরকাল (Adolescence) – ১১ থেকে  ১৮ বছর

এই সময়টি শিশু থেকে প্রাপ্ত বয়সে যাওয়ার সময়কাল। বয়ঃসন্ধিক্ষণে প্রাপ্ত বয়স্কের মতো দেহের আকার আকৃতি ও যৌন বৈশিষ্ট্য অর্জিত হয়। যৌন ক্ষমতার পূর্ণ বিকাশে তারা প্রজনন ক্ষমতা অর্জন করে। বিমূর্ত বিষয় চিন্তাকরতে পারে অর্থাৎ যে বিষয় চোখে দেখা যায় না যেমন- সততা স্নেহ, ভালোবাসা ইত্যাদি বিষয়গুলো বুঝতে পারে। কে কোন পেশায় যাবে সে অনুযায়ী পড়াশুনা করে। তার মধ্যে নিজস্ব লক্ষ্য, মূল্যবোধ তৈরি হয়। তারা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতে আরম্ভ করে। এ বয়সে নিজ চেহারার প্রতি তাদের মনোযোগ বাড়ে।

প্রারম্ভিক বয়ঃপ্রাপ্তিকাল (Early Adulthood) – ১৮ থেকে ২৫ বছর:

পেশা ও সঙ্গী নির্বাচনের প্রস্তুতি- এ সময়ের অন্যতম কাজ। এ বয়সে বিয়ে ও পরিবার গঠনের আগ্রহ তৈরি হয়। অনেকে পেশা সম্পর্কে স্থির সিদ্ধান্তে আসে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি উত্তরণের পর বাস্তবমূখী পেশা নির্বাচনের পথ স্থির হয়। খেলাধুলায় অংশ গ্রহণের চেয়ে এই বয়সে দর্শকের ভূমিকা পালনে তারা আগ্রহী হয়। তারা সরকার, রাজনীতি, বিশ্ব পরিস্থিতি ইত্যাদি নিয়ে বন্ধুদের সাথে চিন্তার আদান প্রদান করে ।

বয়ঃপ্রাপ্তির শেষভাগ (Late Adulthood) – ২৫ থেকে ৪0

বছর। বয়ঃপ্রাপ্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো মা-বাবা হিসাবে পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ। এ সময়ে বিয়ের পর দুইটি ভিন্ন পরিবেশ থেকে আসা দুজনের মধ্যে খাপ খাওয়ানো শিখতে হয়। সন্তান লালন- পালন একটি নতুন কাজ যা তাদের অবশ্যই পালন করতে হয়। স্বামী সত্রী সুন্দর সমঝোতায় গৃহ পরিচালনায় সফলতা আসে। চাকরি, বিয়ে, সন্তান সবকিছু নিয়ে এতো ব্যস্ত থাকতে হয় যে, তারা বাইরে অন্য কোনো বিষয়ে মনোযোগী হওয়ার অবকাশ পায় না ।

মধ্যবয়স (Middle Age) – ৪০ থেকে ৬৫ বছর

কাজ থেকে অবসর গ্রহণের সময় পর্যন্ত এই বয়সের ব্যাপ্তি। এটা প্রাপ্ত বয়স থেকে বার্ধক্যে অবতীর্ণ হওয়ার মধ্যবর্তী সময়। কর্মক্ষেত্রে সফলতা বা নেতৃত্ব দান এ বয়সেই হয়ে থাকে। মধ্য বয়সে প্রধান শারীরিক লক্ষণগুলো হলো-ওজন বৃদ্ধি, চুল পাকা, কুচকানো ত্বক, হাত পায়ের জোড়ায় ব্যাথা, দৃষ্টি শক্তির সমস্যা ইত্যাদি।

বার্ধক্য (Old Age) – ৬৫ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত

এটি মানব বিকাশের সর্বশেষ স্তর। বার্ধক্য ক্ষয়ের সূচনা করে। এই সময়ে শারীরিক, মানসিক অবস্থার ধারবাহিক অবনতি দেখা যায়। তাঁদের কাজ করার শক্তি হ্রাস পায়। বৃদ্ধরা তাঁদের নিজেদেরকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে । তাঁরা খুব কম গঠনমূলক কাজ করতে পারে। তাঁদের ধর্মীয় আগ্রহ বাড়ে। যদি বার্ধক্যে হতাশা, জীবন সম্পর্কে বিরক্তি, মৃত্যু ভয়, মোকাবেলা করা যায় তবে এ সময়টিতে পরিতৃপ্তির অনুভূতি আসে।

 

শিশুর বিকাশ পারিবারিক পরিবেশ

  • শিশুর মনোস্তাত্ত্বিক চাহিদা পূরণ করা

শিশু পরিচালনায় আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শিশুর মনোস্তাত্ত্বিক চাহিদা পূরণ করা ও শিশুকে সুখী করা। প্রত্যেক শিশুর মধ্যেই মনস্তাত্ত্বিক চাহিদা থাকে যেগুলোকে ইংরেজি three A’s for happiness দিয়ে এবং বাংলায় সুখের ৩টি ‘স’ দিয়ে বোঝানো হয়।

স— স্বীকৃতি A- Acceptance

স- স্নেহ A- Affection

স সাফল্য A-Achievement

স্বীকৃতি ,সুখী শিশু ,স্নেহ,সাফল্য

স্বীকৃতি

সকল শিশুর চেহারা বৈশিষ্ট্য, গুণাবলী একরকম হয় না। কেউ যদি দেখতে সুন্দর হয় তবে সকলে তাকে সাদরে গ্রহণ করে। এখানে স্বীকৃতি অর্থ শিশু যেভাবে আছে সেভাবেই তাকে গ্রহণ করা বোঝায়। শিশুটি দেখতে ভালো বা খারাপ, পঙ্গু বা স্বাভাবিক, বুদ্ধি কম বা বেশি, ছেলে বা মেয়ে যে অবস্থায় থাকুক তাকে সাদরে গ্রহণ করতে হবে। শিশুটি যেমন ঠিক তেমনভাবে তাকে গ্রহণ করা, তার গুণাবলীকে স্বীকৃতি দেওয়া ও সেভাবে উৎসাহ দিলে শিশু সুখী থাকে ।

স্নেহ

প্রত্যেক শিশুর মধ্যে স্নেহ, মমতা, ভালোবাসার চাহিদা থাকে। শিশুর যত্ন, পরিচর্যা, তাকে সময় দেওয়া, কিছু শেখানো ইত্যাদি সব কিছুই যদি আদরের সাথে হয়, তাহলে শিশুর মধ্যে আস্থা ও নিরাপত্তার অনুভূতি আসে। তখন সে তার পরিবেশকে ভয় পায় না ।

সাফল্য

প্রত্যেক শিশু সফলতা চায়। সে কোনো কাজ পারলে খুশি হয়। এজন্য শিশুর ভালো কাজ বা কাজের ভালো দিকগুলো তুলে ধরা হলে সে নিজের শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করতে পারে বা বুঝতে পারে যে সে কি পারে। এই উৎসাহ তাকে সফলতার অভিজ্ঞতা দেয় এবং শিশুটি পরিতৃপ্ত ও সুখী থাকে ।

Show More

Course Content

প্যারেন্টিংস

  • শিশুর মস্তিষ্ক ও মনের বয়সভিত্তিক বিকাশ: অভিভাবকদের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্যারেন্টিং গাইড
  • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উদ্দীপনা – অভিভাবক গাইড

Student Ratings & Reviews

No Review Yet
No Review Yet
৳ 45

C Programming Tutorials for Beginners

Free

Teaching Children English Online Course

৳ 1,000 Original price was: ৳ 1,000.৳ 500Current price is: ৳ 500.

সংখ্যাপদ্ধতির পরিচিতি